হাজীগঞ্জ পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মুত্যু, মোট মৃত্যু পাঁচ

হাজীগঞ্জ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সাগর নামের আরো  এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ।  এনিয়ে হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৪ টি মামলায় ২ হাজার আসামী করা হয়েছে। ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাগরের বাবা মোঃ মোবারক হোসেন। তিনি জানান, ঘটনার সময় বুধবার রাতে তার ছেলে হাজীগঞ্জ বাজারে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
পরে অবস্থা অবনতি দেখা দিলে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হলে সোমবার সকালে সাড়ে সাতটায় তার মৃত্যু হয়।
সাগরের মা আমেনা বেগম যুগান্তরকে বলেন, পাঁচ সন্তানের মধ্যে সাগর সবার ছোট। সাগর হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা সুমন মাঝির মেয়েকে বিয়ে করেন। তার এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
 তারা দীর্ঘদিন ধরে হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোড সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের খন্দকার বাড়ি। সাগর পেশায় একজন ট্রাক চালক। সাগরের মা আরো জানান, ডিগ্রি কলেজ রোডের রাসেল নামের এক যুবক তাকে ফোন করে মিছিলে নেয়। সেখানে গুলি খেয়ে আহত হয়ে পরে মুত্যু হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত বাকী চার জনে শামীম, আল আমিন, হৃদয় ও বাবলুর  দাফান ও কুলখানী সম্পর্ন হয়েছে
–হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি