হাজীগঞ্জে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন, চরাঞ্চল ও নদী ভাঙ্গন এলাকায় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বি বিদ্যালয় কেন?

খালেকুজ্জামান শামীম

চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলো হচ্ছে নদী ভাঙ্গন এলাকা। যেখানে চাঁদপুর শহর রক্ষার জন্য সরকার শত শত কোটি টাকা ব্যয় করছে, সেখানে ‘বহরিয়া’ নামক একটি চরাঞ্চল এলাকায় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় কেন স্থাপন করা হচ্ছে? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন বক্তারা। বিশ্ববিদ্যালয়টি জেলার মধ্যবর্তী স্থান হাজীগঞ্জে স্থাপনের দাবিতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
‘হাজীগঞ্জ সচেতন নাগরিক ফোরাম’ এর ব্যানারে শুক্রবার বাদ জুমআ বৃষ্টি উপেক্ষা করে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতারাসহ দল-মত নির্বিশেষে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেয়। এ ছাড়াও ‘জাগ্রত তরুণ জনকল্যাণ সংস্থা’ হাজীগঞ্জ উপজেলার শাখা নামক অপর একটি সংগঠন এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভৌগলিক দিক থেকে জেলার মধ্যবর্তী ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলা। এখানে ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়’ স্থাপন হলে চাঁদপুর জেলার সকল উপজেলাসহ প¦ার্শবতী লক্ষীপুর, নোয়াখালি ও কুমিল্লা জেলার একাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপকৃত হবে।

তাছাড়া চাঁদপুরের চরাঞ্চল নদী ভাঙ্গন এলাকা এবং এর পশ্চিমাঞ্চলে পদ্মা-মেঘনা নদীর অবস্থান।

সেখানে কোন জনপথ নেই। তাই ভৌগলিক অবস্থান ও জনপথের কথা বিবেচনা করে হাজীগঞ্জে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হওয়া উচিত বলে মনে করে হাজীগঞ্জবাসী। এজন্য শিক্ষামন্ত্রী ও সংর্শ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুকুর আলম শুভ, সাবেক ছাত্রনেতা চঞ্চল সাহা, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এস.এম ফয়সাল হোসাইন, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল হাসানসহ হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী, সংবাদকর্মী, সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত  ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব প্রদানসহ পাঠন ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণকল্পে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য গত বছরের (২০২০) ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

এরপর চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারী মাসে ড. মো. নাছিম আখতারকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার এবং বিশ^বিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে চাঁদপুর সদর জেলার লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নে (চর বহরিয়া) নামক এলাকাটি নির্ধারণ করা হয়। চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলো নদী ভাঙ্গন এলাকা ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হিসেবে মনে করে মানুষ। তাই জেলার মধ্যবর্তী স্থান হিসেবে হাজীগঞ্জে বিশ^বিদ্যালয়টি স্থাপনের দাবি জানান হাজীগঞ্জবাসী।

ক্যাপশন: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় হাজীগঞ্জে স্থাপনের দাবিতে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। -যুগান্তর