হাইমচরে জমি বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেয়ার ১৭ বছর পরেও জমি রেজিষ্ট্রি না দেয়া অভিযোগ

জেলার হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা মৌজার .২৪২৫ একর ভ‚মি বিক্রয় করে দখল বুঝিয়ে দেয়ার ১৭ বছর পরেও উক্ত জমি রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেনা বিক্রেতা। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে চরভাংগা গ্রামের মোঃ অলি উল্যা মোল্লা প্রকাশ অলু মোল্লা একই এলাকার নদী ভাংতি মানুষ মোঃ মনছুর আলী গাজীর নিকট বিগত ১৯/০২/২০০৪ ইং তারিখে বায়নাপত্র দলিল মূলে .২৪২৫ একর ভ‚মি বিক্রয় করে বিক্রিত ভ‚মির সম্পূর্ণ টাকা বুঝে পেয়ে বিক্রিত ভ‚মি ক্রেতা মনছুর আলী গাজীকে মাপঝোপ করে দখল বুঝিয়ে দেয়।

বায়নাপত্র দলিলে পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করা হয় অলি উল্যাহ মোল্লা বাদীপক্ষের চাহিদা মোতাবেক যে কোন সময় উক্ত ভ‚মির অত্যাবশ্যকীয় ছাপকবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে দিবে। ক্রেতা মনছুর আলী গাজী খরিদের পর থেকে উক্ত ভ‚মিতে মাটি কেটে ভ‚মির উন্নয়ন করতঃ ৩টি বসত ঘর, ২টি টয়লেট, ২টি পাকঘর, গোয়ালঘর, নলকুপ ইত্যাদি স্থাপন ও নির্মান ক্রমে এবং কতেক ভ‚মিতে পুকুর কেটে বাকী অংশে মূল্যবান ফলজ ও বনজ গাছ সৃজনে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ভোগ দখলে আছেন।

ক্রেতা মনছুর আলী গাজী উল্লেখিত খরিদকৃত ভ‚মির ছাপকবলা দলিলে সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রির জন্য বেশ কয়েকবার তাগাদা করা স্বত্বেও বিক্রেতা অলী উল্যা মোল্লা খারাপ লোকদের কুপরামর্শে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি না দিয়া তালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ বিগত ২৫/০৯/২০২০ ইং তারিখে বিক্রেতা অলি উল্যাহ মোল্লা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়া মনছুর আলীর গাজীর মালিকীয় দখলিয় ভ‚মি হইতে বেদখলের হুমকী ধমকী প্রদান করে।

এ অবস্থায় ক্রেতা মনছুর আলী গাজী নিরুপায় হয়ে হাইমচর সহকারী জজ আদালতে

দেঃ ৪১/২০২০ ইং মোকদ্দমা দায়ের করে। উক্ত মোকদ্দমা দায়েরের পর অলী উল্যাহ মোল্লা যথারীতি মোকদ্দমা সমন নোটিশ পাওয়া স্বত্বেও সময় ক্ষেপন করে দীর্ঘ সময় পর আদালত শোকজ দিলে তিনি মোকদ্দমায় জবাব দাখিল করে।

বিগত ৩১/০৮/২০২১ ইং তারিখে মোকদ্দমার নালিশী ভ‚মিতে বিজ্ঞ আদালত বিবাদীপক্ষকে ১৫ দিনের শোকজ আদেশ প্রদান করলে বিবাদী অলী উল্যাহ মোল্লা মিথ্যা ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক বক্তব্য দিয়ে আপত্তি দাখিল করে। নালিশী ভ‚মিতে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হবে তৎমর্মে শোকজের আপত্তি শুনানীর জন্য বিজ্ঞ আদালত আগামী ০৭/১১/২০২১ ইং তারিখ ধার্য করেন।

বিবাদী একজন ধূর্ত ও প্রতারক শ্রেণীর সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বটে। তিনি বিক্রিত ভ‚মির ছাপকবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি না করে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মোকদ্দমার বাদীপক্ষকে হুমকী ধমকী প্রদান করছে বলে বাদী অভিযোগ করেছেন। বাদীপক্ষ নালিশী ভ‚মির খাজনাদি পরিশোধ করেছেন। নালিশী ভ‚মিতে নির্মিত বাদী হোল্ডিং টেক্স প্রদান করেছেন।

বাদীপক্ষ নালিশী ভ‚মিতে বিদ্যুৎ মিটার স্থাপন ক্রমে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছেন। বাদী মনছুর আলী গাজী একজন নদী ভাংতি অসহায় মানুষ হওয়ায় বিবাদী অলী উল্যাহ মোল্লা ও তার ভ্রাতা ইমান আলী মোল্লা বাদীকে নানা রকম হয়রানী করছে। বাদীপক্ষের খরিদকৃত চরভাংগার মৌজার সি.এস. ৫০ নং বি.এস. ৩৫৪ নং খতিয়ান ভুক্ত সাবেক ৭৯৪ দাগ বি.এস ৫৫১১ দাগ নাল বর্তমানে বাড়ী মোঃ .২৪২৫ একর ভ‚মি

বিবাদী অলি উল্যাহ মোল্লা ছাপকবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে না দেয়ার কারনে এলাকায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী অলি উল্যাহ মোল্লার এহেন জঘন্য প্রতারনা ও বে আইনী কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ক্যাপশন: হাইমচর চরভাংগা গ্রামে মনসুর আলী গাজীর বায়না মূলে খরিদকৃত ভূমিতে নির্মিত তাহার বসত ঘর, পাকঘর, টয়লেট, নলকূপ ও অন্যান্য স্থাপনা।