স্বাগত নববর্ষ-১৪২৮, নতুন স্বপ্নে জাল বুনছে জাতি

মনের রঙ ছড়িয়ে গেছে শহর থেকে গ্রামে। বিশ্বব্যাপী করোনা মোহামারীতে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলাশহর সহ গোটা জেলাবাসী আজ লগডাউনে। কারণ একটাই- পহেলা বৈশাখ, বাঙালির অন্যতম প্রাণের উৎসব। বৈশাখী এ উৎসব না হলেও তার মাঝেই নতুন স্বপ্নে জাল বুনছে জাতি।

স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪২৮। শহুরে বাঙালিয়ানার প্রিয় উৎসব। কবিগুরুর কথায় ‘মুছে যাক গøানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’। আজকের বাংলাদেশের জন্য তার এ আহŸানের চেয়ে আপন সুর আর কি হতে পারে! কঠিন বাস্তবতা, সমাজে করুণ-কঠোর বিভাজন। তীব্র নিপীড়নের রাষ্ট্রে আজ যা কিছু উল্লেখযোগ্য, তার সবটাই মানুষের জন্য গøানির। উগরে দিতে চাইছে, কিন্তু পারছে কই!

যখন নববর্ষ বরণের ‘উৎসব’, তখন গোটা দেশে ঘুরে ফিরে যে শব্দগুলো আসছে তা হলো- গুম, খুন, গ্রেপ্তার, ক্রসফায়ার, সহিংসতা, পুলিশ, গুলি, নিহত, আগুন, তাÐব, ঘৃণা, বিদ্বেষ, বিষোদগার আর দীর্ঘশ্বাস। ঘরে-বাইরে, ব্যবসায়, লেনদেনে, সম্পর্কে দীর্ঘশ্বাসের দীর্ঘলাইন। পরিবারে অর্থনৈতিক আকাল। উৎকণ্ঠায় পার হচ্ছে রাত, কে এসে ডেকে নিয়ে ফেরত দিচ্ছে সন্তানের লাশ। উঁকি দিচ্ছে রাজনৈতিক সহিংসতার শকুন।

এই বুঝি ছোবলে ধ্বংস করে দিবে শান্তির পতাকা। নববর্ষ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। জেলাশহর তো আছেই বিভিন্ন উপজেলায় এমনকি গ্রামেও বৈশাখী মেলার খাবার স্টলে সাড়ম্বরে থাকবে পান্তা-ইলিশেরর আয়োজন। অভিজাত রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে পথে ঘাটে বিভিন্ন উদ্যানের আশেপাশে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টও থাকছে অহরহ।

আজ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষথেকে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাংলা নতুন বর্ষকে বরণ না করতে জেলাশহর সহ সারা জেলায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

-স্টাফ রিপোর্টার