স্পিডবোট সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি চাঁদপুর ঘাটের যাত্রীরা

চাঁদপুর দিগন্ত রিপোর্ট

চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ পথে স্পিডবোট সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি চাঁদপুর ঘাটের যাত্রীরা। কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে চালকরা সিন্ডিকেট করে চালাচ্ছে চাঁদপুর ঘাট হইতে শরীয়তপুর চেয়ারম্যান ঘাট রোডে কয়েকটি স্পিডবোট। যাত্রীদের কাছে পরিপূর্ণ নেই কোনো লাইফজ্যাকেট।

কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে চালকরা সিন্ডিকেট করে চালাচ্ছে স্পিডবোট। যাদের নজরদারি থাকার কথা তাদেরই ছত্রছায়ায় চলছে এসব অনিয়ম। অভিযোগ আছে, ঘাটের প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যাত্রীদের জিম্মি করে প্রচন্ড প্রতাপে অবৈধভাবে স্পিডবোট চালানো হচ্ছে।

চাঁদপুর বড় স্টেশন নৌকা ঘাট, পুরান বাজার নৌকা ঘাট ও চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট ফেরির সঙ্গে যাত্রী পরিবহন করছে স্পিডবোট ও ট্রলার। এই তিনটি ঘাটে স্পিডবোট চলাচল করে। স্পিডবোটে ২০ থেকে ২৫ জন এবং ট্রলারে ৮০ থেকে ১০০ জন যাত্রী বহন করা হয়। স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচলে কোনো সরকারি অনুমতি নেই। তাদের কোনো লাইফ জ্যাকেটও দেয়া হয় না। তারপরও চালানো হচ্ছে স্পিডবোর্ড। প্রশিক্ষন প্রাপ্ত নেই কোনো স্পিডবোট চালক তারপরও তাদেরকে দিয়ে চালানো হচ্ছে স্পিডবোর্ড। যাত্রীরা কর্তৃপক্ষের যথাযর্থ দৃষ্টি আকর্ষন করছে।

জানা গেছে, চলমান লকডাউনে গণপরিবহনের সঙ্গে এই নৌরুটে গত ৫ এপ্রিল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে।

কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ২৭ এপ্রিল থেকে নৌরুটে চলাচল শুরু করছে স্পিডবোট। দ্বিগুণ থেকে তিনগুন ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। ফেরিতে উঠতে ব্যর্থ এবং দ্রæত যাওয়ার তাড়া থেকে যাত্রীরা স্পিডবোটে বাড়তি ভাড়া দিয়েই পারাপার হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, তিনি এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্পিডবোট চালক, মালিক, ইজারাদার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য দেখছেন। তিনি বলেন-ঘাটে এসে যাত্রীরা চালকদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। প্রতিবাদ করলে উল্টো হয়রানীর শিকার হতে হয়। এমনকি যাত্রীরাদের নাজেহাল পর্যন্ত করা হয়। চালকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদকারী যাত্রীর ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। মান সম্মানের ভয়ে অনেকে এখন আর প্রতিবাদ করতে চান না।

কেননা ঘাটের দুই পাশে স্পিডবোট চালক, মালিক এবং ইজারাদার সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ অসহায়। এখানে কোনো ঘটনা ঘটলে যাত্রী বা প্রতিবাদকারীর পক্ষে কথা বলার কেউ সাহস পায় না। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও সহায়তা পাওয়া যায় না। ঘটে নৌ পুলিশের ফাঁড়ি থাকলেও প্রয়োজনে তাদের কাউকে পাওয়া যায় না। এমনকি ঘাটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা যাত্রীদের অভিযোগ শোনে না। তারা স্পিডবোট চালকদের পক্ষে অবস্থান নেয়।