Diganta-

শাহরাস্তিতে পিতাকে কুপিয়ে হত্যা পুত্র জখম আটক ১

শাহরাস্তি প্রতিনিধি

শাহরাস্তি চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে সিনিয়র ও জুনিয়ররা চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে রফিকুল ইসলাম (৪৩) নামে অভিভাবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত জখম হয়েছেন রফিকুল ইসলামের ছেলে মেসবাহ উদ্দিন হাসান (১৪)। এ ঘটনায় পুলিশ কালু মিয়া নামে ১জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেড়িয়ারা গ্রামের ষষ্ঠিবাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রফিকুল ইসলাম ওই বাড়ীর মৃত আশু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ওই এলাকার চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের জন্য কয়েকজন অভিভাবক বিদ্যালয়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিদ্যালয়ের জুনিয়র ছাত্ররা একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলো। পরে তাদেরকে সিনিয়র গ্রুপ এসে চড়-থাপ্পর মেরে বের করে দেয় এবং তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। জুনিয়রদের মধ্যে রফিকুল ইসলামের আহত ছেলে মেসবাহ উদ্দিনও ছিলো। ঘটনাটি জানার পরে প্রধান শিক্ষকের জানান জুনিয়র গ্রুপের ছেলেরা। ঘটনা সমাধানের জন্য সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ে বৈঠক করবেন বলে আশ^াসদেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু এরই মধ্যে সিনিয়র গ্রুপের ছেলেরা দলবলে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়ীতে হামলা চালায়।

স্থানীয়রা আরো জানান, সিনিয়র গ্রুপের ছেলের মধ্যে রেদওয়ান হোসেন সেন্টুর নেতৃত্বে রাশেদ খান কালু, সাগর, নুরুল ইসলামসহ প্রায় ১৫জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মেসবাহ উদ্দিনকে হাসানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে রফিকুল ইসলামকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত মেসবাহ উদ্দিন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শাহরাস্তি থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম ফোকাস মোহনাকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেখার সময় সিনিয়র ও জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে হামলার ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নিহত হয়। ঘটনার সাথে জড়িত ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাশেদ আহমেদ কালুকে আটক করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।