লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

আজ হজ্বের মাস জিলহজ্বের চতুর্থ দিন। আর মাত্র কয়েক দিন পরই শুরু হবে হজ্বের মূল কার্যক্রম। মহান আল্লাহতায়ালা বান্দার ওপর হজ্ব ফরজ করার মধ্যে বিশেষ হেকমত রেখেছেন। হজ্ব কোনো গতানুগতিক আনুষ্ঠানিক ধর্মীয় কাজের নাম নয়। খানায়ে কাবা জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আত্মিক পরিশুদ্ধি লাভ করে ইসলামী জীবন যাপনের জন্য আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জনের নামই আসলে হজ্ব।

সে জন্যই হাদীস শরীফে হজ্ব পালনকারীকে নিষ্পাপ শিশুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্ব পালন করেছে এবং হজ্ব পালনকালে কোনো প্রকার অশ্লীল কথা ও কাজে কিংবা গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে যেন সদ্যজাত মাছুম শিশুর মতো ফিরে আসলো (বুখারী ও মুসলিম)। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি। আর প্রত্যেক মানুষকেই একে একে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে।

তিনি মানুষকে পৃথিবীতে কিছু দিনের জন্য প্রেরণ করেছেন; যাতে তারা আল্লাহর প্রশংসা ও শুকরিয়া আদায় করে। আর দুনিয়ার এই অল্প সময়ই হলো আখিরাতের পুঁজির সময়। দুনিয়াতে যে ব্যক্তি যত বেশি ভাল কাজ করতে পারবে পরকালে তার জন্য তত বেশি সুখ ও শান্তির ব্যবস্থা থাকবে। আর এখানে যে যত বেশি পাপ কাজ করবে পরকালে তার জন্য সে পরিমাণ শাস্তি নির্ধারিত থাকবে।

তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়। পাহাড় পরিমাণ পাপ করেও আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে তিনি ক্ষমা করে দেবেন। তবে ক্ষমা চাইতে হবে দুনিয়ায় থেকেই। কেননা মৃত্যুর পর তাওবা ও ক্ষমার সকল পথ বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং এই দুনিয়ার জীবনে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনকেই তার জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য পরিণত করা উচিত। যা হজ্বের শিক্ষা।

হজ্ব শুরু হতে আর কয়েকদিন বাকী আছে। ইতোমধ্যে যারা পবিত্র হজ্ব পালন করার জন্য অনুমতি পেয়েছেন তাদের অনেকেই মক্কায় এসে জমায়েত হয়েছেন। পবিত্র কাবা শরীফ তাওয়াফ ও সাফা মারওয়া সা’য়ী করছেন। হজ্বের স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছেন। ইসলামের ঐতিহাসিক স্থানগুলো সফর করছেন আল্লাহর মেহমানগণ। আর রাতভর মসজিদে হারামের ইবাদাত বন্দেগীতে সময় কাটাচ্ছেন তারা।