মতলব উত্তরে চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড প্রধান আসামী গ্রেফতার

 

গোলাম নবী খোকন

মতলব উত্তরে ২৬ দিন পর ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। ঘটনার বিবরনে জানা যায় উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের উত্তর ইসলামাবাদ গ্রামের বজলু বেপারীর মেয়ে নবম শ্রেণিরতে পড়ুয়া ছাত্রী সারমিন কাকুলী আক্তার। তার কাছে গত ২৭ মার্চ অপরিচিত নাম্বারে কল আসে।

গত ২৮ মার্চ সকালে সারমিন তার মার কাছে বলে মা আমি আসতেছি। এ বলে তিনি ঘর থেকে বের হয়, আর ফিরে আসে নী। ঐ দিন খোজা খুজি করে না পেয়ে গত ২৯ মার্চ মতলব উত্তর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। এর পর অনেক দিন খোজা খুজি করে না পেয়ে তার মা পাগল প্রায়।

গত ২২ এপ্রিল সজাতপুর বাজার সংলগ্ন অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেন মাঠে ঐ এলাকার কিছু সংখ্যক অল্প বয়সী কিশোর ক্রিকেট খেলার জন্য মাঠে এলে খেলা চলাকালীন সময়ে ক্রিকেট বল কিন্ডারগার্টেন গিয়ে ডুকে পড়লে, বল কুড়াতে গিয়ে লাশ লাশ বলে চিৎকার দেয়। তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোক জন ছুটে আসে। এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিখোঁজ হওয়া সারমিন কাকলীর মা ঘটনাস্থলে এসে মাথা বিচ্ছিন্ন গলিত গলা কাটা লাশ শনাক্ত করে।

তার পর স্হানীয় লোকজন মতলব উত্তর থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করেন। ঘটনার বিবরনে আর ও জানা যায়, একই গ্রামের আহসানের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার নানার বাড়ি পার্শবর্তি গ্রাম মমরুজ কান্দিতে থেকে লেখা পড়া করে।

তিনিও মমরুজ কান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। নিহত সারমিন কাকুলির মা রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের জানান সাইফুলের সাথে আমার মেয়ের প্রেম সর্ম্পক ছিল, আমার ধারনা ঐ সাইফুল ছেলেটিই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে হত্যার সুবিচার চাই।

এ ব্যাপারে ওসি নাসিরউদ্দিন বলেন প্রথম দিন আমরা কাকুলীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করি, পরদিন ২৩ এপ্রিল তার মার জবান বন্দী অনুসারে প্রেমিক সাইফুলকে তার নানার বাড়ি থেকে আটক করি। এবং এ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য তার জবান বন্দী নেওয়া হলে এ চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের রহস্য বেরিয়ে আসে।

তার কথা অনুযায়ী কাকুলীর দেহ বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয় উপজেলার সুজাতপুর বাজারের তৃপ্তি হোটেল সংলগ্ন খাল থেকে। আর ও রহস্য বেরিয়ে আসলো এ ঘটনায় জরিত এক রাজ মিস্তিরি র নাম, তার বাড়ি রাজশাহীতে। এ ঘটনা উদঘাটনের পর আসামী রাজ মিস্তিরি পলাতক রয়েছে বলে জানান থানা পুলিশ।

২৪ এপ্রিল এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাইফুলকে কোর্টে প্রেরন করেন। অপর পলাতক আসামীকে ও ধরার জন্য তৎপর রয়েছে থানা পুলিশ, বললেন ও নাছিরউদ্দিন মৃধা।

তবে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানমানের নির্দেশ ক্রমে এবং মতলব সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবিব বিভিন্ন টেকনিক ব্যবহার করে মতলব উত্তর থানার ওসি নাসিরউদ্দিনকে দিয়ে অতি দ্রুত কাকুলীর হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী ধরতে সক্ষম হন।