ফরিদগঞ্জে চরদুঃখিয়ার মজিবুর রহমান শেকু খুটির জোর কোথায়?

মানজুরুল আলম রানা
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পর্ব-০৪ ফরিদপঞ্জ উপজেলার ১২নং চরদুঃখিয়া ইউনিয়ন বিশকাটালী গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মজিবুর রহমান শেকু ধীরে ধীরে হয়ে উঠছেন ভয়ংকর অপরাধী। মামলার দালালী যার পেশা। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন একের পর এক মামলা। তার আছে দালাল চক্র। বিভিন্ন মামলায় মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়ার একাধিক ব্যক্তি।

মেম্বার শেকুর বিরুদ্ধে আছে ডাকাতি, নারী নির্যাতন, ও পরকিয়ার অভিযোগ। বর্তমানে শেকু কাতার প্রবাসী স্বপন পাটওয়ারী স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িত আছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, স্বপন পাটওয়ারীর ভাই, বোন ও ছেলে থাকা সত্তে¡ও মেম্বার শেকু নিয়েছেন সংসারের সকল দায়িত্ব। এসব ঘটনা এলাকাবাসি জানলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছেনা।

কারন হিসেবে জানা যায়, তাছলিমা (ছদ্মনাম) কে কু-প্রস্তাবে রাজি না হয়ায় রাতের আধারে বসত ঘরে প্রবেশ করে ভাংচুর, মারধর, গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে টাকা স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। ঘটনাটি ১৮ তারিখ ২০১৫ সালে, ‘‘ফরিদগঞ্জে মেম্বারের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিধবা গৃহকর্তীর উপর অমানবিক নির্যাতন টাকা স্বর্নালংকার মালামাল লুট’’শিরোনামে দৈনিক চাঁদপুর জমিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মজিবুররহমান শেকু প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি মামলার আসামী। বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষধের সভাপতি এবিসিদ্দিক মামলাটি দায়ের করেন। সংবাদটি ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। সত্যতা জানতে শেকুর মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন দিলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং কি খুদে বার্তা পাঠালেও কোনউত্তর দেয়নি।

এই দেশের অফিসারদের টাকা খাওয়ালেই সব ঠিক এমন বিরুপ মন্তব্য করা শেকু মেম্বার মামলা থেকে বাঁচতে করছেন জোর তদবির। বিএনপির নেতা হয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগিতা পেতে ধরনা দিচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। শেকুর কাছে থাকা স্বাক্ষর করা খালি কার্টিজ একাদিক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে দেখালেও শিকার করা দুটি ফোনকল রেকর্ড থাকা সত্যেও মামলা থেকে বাঁচতে বলছেন ভিন্ন কথা।

বর্তমানে মামলাটি ফরিদগঞ্জ থানায় তদন্তাধীন। পারবেনকি শেকু মেম্বার সত্যকে আড়াল করতে প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এবিষয়ে প্রয়োজন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি।