………প্রাচীন যুগ থেকে ডিজিটাল যুগ……. …………….. “ধর্ষক থেকে খুনি”……………….

–হুমায়ুন কবির বেপারি

প্রাচীন যুগ মানেই আজ থেকে প্রায় হাজার বছর আগের কথা। তখন মানব জাতির প্রায় জন্ম হতো বন-জঙ্গল, কিংবা পাহাড়-গুহায়। সে সময় শিক্ষা, চিকিৎসা ছিলনা বললেই চলে। প্রাচীন আমলে কোন আইন -আদালত এমনকি সংবিধানের নামও ছিল না। তবে শাসক বা জমিদার কিংবা রাজাদের প্রথা ছিল কঠিন নিয়মে ।

চিকিৎসা প্রয়োজন মিটানো হতো ঔষধাদি পাতার রস বা বনাজি খেয়ে। শিক্ষার উপকরন ছিল গাছের পাতা এবং কাঠি। রাজারাই হয়তো সে সময় রাজ্য শাসন করতেন এটাই ছিল প্রাচীন যুগের ইতিহাস।

 

তবে রাজা বা জমিদার ছাড়া প্রাচীন যুগে নারী কিংবা পুরুষের জন্য তেমন কোন পোশাক ছিল না। তাই সেই আমলে নারী বা পুরুষরা গাছের লতা-পাতা দিয়ে নিজের গোপনাঙ্গ ঢাকতেন। তবুও তারা ছিলেন অনেকটাই সভ্য জাতি। তখন রাজাদের বিভিন্ন চিন্তা বা গবেষণায় ধীরে ধীরে প্রাচীন সভ্যতার সংস্কৃতির পরিবর্তন আসে।

কিন্তু যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় সমাজ এবং রাষ্ট্রের। পরিবর্তন হয় শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্য, বস্র, প্রযুক্তি, আইন -আদালত এবং রাষ্ট্র পরিচালনার সুবিধার্তে সংবিধানের। এর পরে বিশ্ব হয়ে উঠে ডিজিটালাইজড। তবে এটাই সত্য সভ্যতা ও প্রযুক্তির জয়ে যখন এগিয়ে বিশ্ব তখন ডিজিটালেও নাম হলো বাংলাদেশের।

তবুও এদেশে জন্ম হয় কিছু কাপুরুষ নামে সমাজ ব্যাধি কুলাঙ্গার নারী বা শিশু ধর্ষকের! গত এক দশক ধরে বাংলাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং একই সাথে হত্যার ঘটনা ছিল নিয়মিত পত্রিকার শিরোনাম। যার বেশির ভাগ ধর্ষকই জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী ব্যক্তি অথবা রাজনীতিক দলের নেতা। তবে অনেক ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলেও সঠিক বিচার হয়নি আজও ।

এমনি ৯০ ভাগ ধর্ষনের ঘটনা শিকার হয়েছেন মধ্য বিত্ত বা গরীব পরিবারের নারী বা শিশুরা।

যার স্ব-চিত্র হলো সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনার দূর্যোগে ত্রান চাইতে গিয়ে মেম্বারের কাছে শিশু ও গৃহবধূ ধর্ষণ। খিলক্ষেত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ। লালমনিরহাট গৃহকর্মীকে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক ধর্ষণ ও হত্যা। সাভার, আশুলিয়া বাসে গার্মেন্টস নারী শ্রমিককে ধর্ষণ ও হত্যা। এভাবে পুরো দেশ জুড়ে এমন ভয়াবহ চিত্র রয়েছে।

অর্থাৎ নারী ও শিশু ধর্ষণ দেশের জন্য শতাব্দির সেরা নগ্ন ইতিতাস শামীল। শুধু এখানেই শেষ নয় প্রকাশ্যে দিবালোকে গত ১৩ জুন লক্ষীপুর জেলা সদরে চৌদ্দ বছরের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ” হীরা মনি” কে একদল ঘাতক গণধর্ষণ করে হত্যা করে। বাবা ঢাকায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায মারা গেলে হীরা মনির মা বাবার লাশ আনতে ঢাকা যাওয়ায় ঘাতকরা খালি ঘরে এমন জগণ্য কাজে লিপ্ত হয়। আমার মতে এরা মানুষ নয় সমাজের কুকুর।

সুতরাং প্রশাসনের উচিৎ এ সকল সমাজ বিরোধী কুকুরদের প্রকাশ্যে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা। কারণ এরাই সমাজের ধর্ষক থেকে এখন খুনি। আমি অবিলম্বে হীরা মনি কে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যায় জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি। লেখকঃ হুমায়ুন কবির বেপারী নির্বাহী সম্পাদক সাপ্তাহিক সাদা কাগজ