পবিত্র রমযান শুরু আজ

ইলিয়াছ পাটওয়ারী

দেশের আকাশে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রমযান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস পবিত্র রমযান শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। ফলে আজ ১লা বৈশাখ বাংঙ্গালী জাতীর বাংলা বর্ষবরণ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আক্রমনে চাঁদপুরে অনুষ্ঠান পালিত হবে না।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগে ফোন করে ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলা অফিসের উপ-পরিচালকরা চাঁদ দেখার সংবাদ জানিয়েছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সভায় জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪২ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ বুধবার থেকে রমজান মাস শুরু হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতেই (এশার নামাজের পর) তারাবি নামাজ শুরু হয়েছে। রোজা রাখতে শেষ রাতে সেহরি খাবেন মুসলমানরা। ঢাকায় প্রথম দিন সেহরির শেষ সময় ভোর রাত ৪টা ১৫ মিনিট। আজ বুধবার প্রথম রোজার ইফতারের সময় ৬টা ২২ মিনিট।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমযান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস।

রমযান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফেরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোষখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও যে কোন ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।

এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজারো মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন। রমজান শেষেই আসবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
এদিকে রোববার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে গতকাল মঙ্গলবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে।

পবিত্র রমযান মাস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বানীতে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে রমজানের মোবারকবাদ জানান। তিনি রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষার পাশাপাশি জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য্য ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রমজানের মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল অকল্যাণকর কাজ পরিহার করতে হবে সবাইকে। একইসঙ্গে দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্ট-যন্ত্রণা উপলব্ধি করতেও সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।