ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া কোনো ফার্মেসি চলবে না

ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্টবিহীন কোনো ফার্মেসি চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেছেন, ছোট হোক বা বড় হোক অপরাধ করলে ছাড় পাবে না কেউ।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় বেশ কয়েকটি ফার্মেসিতে অভিযান শেষে মহাপরিচালক এ কথা বলেন।

মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ড্রাগ লাইসেন্সবিহীনভাবে কোনো ফার্মেসিকে আমরা চলতে দেব না। শুধু তাই নয়, সেখানে ফার্মাসিস্টও থাকতে হবে। ফার্মেসিতে ক্যাটাগরি বি অথবা ক্যাটাগরি সি, যেকোনো এক ধরনের ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। অপরাধ ছোট কিংবা বড় হোক, কেউ ছাড় পাবে না।’

অভিযানে মোট ১২টি ফার্মেসি থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের অনুমোদনহীন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করা হয়। সে সময় কোনো ফার্মেসিতেই রেজিস্ট্রার্ড ফার্মাসিস্ট উপস্থিত ছিলেন না।

অভিযানে ট্রেড লাইসেন্স ও ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় একটি ফার্মেসি সিলগালা করে দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার কথা জানিয়েছে তারা।

নিয়ম অনুযায়ী কোনো ওষুধের দোকান তথা ফার্মেসি করার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। আর এই ড্রাগ লাইসেন্স তিনিই পাবেন যার ফার্মাসিস্টের ট্রেনিং ও সনদ রয়েছে। দু’বছর মেয়াদী এ ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এজন্য পৌরসভার মধ্যে ৩ হাজার টাকা ও পৌরসভার বাইরে গ্রাম এলাকার জন্য ১ হাজার ৫শ’ টাকা ফি বাবদ চালান কেটে জমা দিতে হয়। এরপর দু’বছর অন্তর এই লাইসেন্স নবায়ন করাতে হয়।কিন্তু বাস্তবে এ নিয়মের কোন তোয়াক্কা করা হয় না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ড্রাগ লাইসেন্স করার জন্য ফার্মাসিস্টের এই শর্তটি সঠিকভাবে অনেকেই পূরণ করেন না। অনেকে ছয় মাস মেয়াদী ফার্মাসিস্ট কোর্স সম্পন্ন করে ড্রাগ লাইসেন্স সংগ্রহের পর অন্যকে দিয়ে ওষুধের ব্যবসা পরিচালনা করেন। আর এভাবে অনৈতিক সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে চলে মোটা অংকের ঘুষ বিনিময়।