চান্দ্রা গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের সরকারি বরাদ্দকৃত বসত ঘর নির্মাণের চুরি হওয়া ঢেউটিন আংশিক উদ্ধার

গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের কাজে সরকারি বরাদ্দকৃত বসত ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন রাখলে ৩ শত ৪৯ পিচ ঢেউটিন চুরি করে নিয়ে যায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় চাঁদপুর সদর ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বাখরপুর চর এলাকাায় নির্মাণাধীন গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের জন্য ৫০ টি ঘরের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত ১৬ টোন ঢেউটিন ওই স্থােেন রাখা হয়।

গত ৩১ জানুয়ারি রাতে গুচ্ছগ্রামে চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ওই স্থানে পাহারা কৃত গ্রাম পুলিশ জ্যোতিষ ভ্রমণ স্তপ থেকে অধিক পরিমাণ টিন কে বা কাহারা চুরি করে নিয়েছেন বলে চেয়ারম্যান কে অবগত করেন।

খবর শুনে ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের ঠিকাদার খানজাহান আলী পাটোয়ারী চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে এলাকাবাসী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী ঐদিনেই চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের আলোকে চুরি হওয়া টিন ও চোর চক্র কে সনাক্ত করতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায় ।
অন্যদিকে ৩ ফেব্রæয়ারি সকাল ১০ টায় গুচ্ছ গ্রামের ২ নং ওয়ার্ড বাখরপুর গ্রামের মৃত শামসুল হক শেখের ছেলে আবু তাহের শেখ ( ৫৫) তার কৃষি জমিতে পানি সেচ করার জন্য একটি পরিত্যক্ত কুয়াতে নামলে তার ডান পা দারালো স্তুুর আঘাতে কেটে যায়।

সন্দেহবশত ঐবস্তুুটি তল্লাশি করতে যেয়ে পানিতে ডুবন্ত ঢেউটিনের সন্ধান পান। দিকে কুয়াতে লুকিয়ে রাখা ঢেউটিনের বিষয়ে স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খানজাহান আলী কালু পাটোয়ারী কে অবগত করলে তিনি সরোজমিনে এসে এই চিত্র দেখে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করন। পরে এস আই আবু হানিফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসার পর স্হানীয় দের সহযোগিতায় ২ নং ওয়ার্ড শেখ বাড়ির ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের পাসের পুকুর থেকে ২৫ পিছ ঢেউটিন উদ্ধার করেন।

অন্যদিকে বিশেষ অনুস্বন্ধান চালিয়ে ঢেউটিন চুরির মূল হোতা

মিজান খানের ছেলে দুর্র্ধষ চোর চক্রের সদস্য স্বপন খান (২৪) গং কে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন পুলিশ। এদিকে স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী বলেন এই চক্রের পিছনে আরো বড় ধরনের জ্ঞান আছে বলে ধারণা করেন। এলাকাবাসী জানান বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির খানের ভাই নুরুল ইসলাম (নুরু) খান (৪৮) মিজান খান (৪৫) তাদের ছেলে স্বপন খান(২৩) সবুজ খান (১৮) সহ ভাড়াটিয়া চোর চক্র বিভিন্ন এলাকায় চুরি সহ অনেক ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

পূর্বে থেকেই তারা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন জেলা কিংবা গ্রামের বাসা বাড়িতে শীত খেতে স্বর্ণ অলংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে একাধিকবার বিচারের সম্মুখীন ও হয়েছে। এখন আবার তাদের ছেলেপেলেরা এই সুরের নেশায় মেতে উঠেছে।

এখনই তাদেরকে আইনের মাধ্যমে কঠোর হস্তে দমন না করলে চুরির আতঙ্ক সহ ভবিষ্যতে কোন কাজ করতে মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
চোর স্বপন খান গং কে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে দিলে তার পিছন থেকে ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে এলাকাবাসী জানায়।

উল্লেখিত বিষয়ে পুলিশ জানায় চোর চক্রকে ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আবু হানিফের কাছে স্বপন খানের মা’ মিনহাজ বেগম বলেন ছেলে স্বপনের সাথে চুরির ঘটনায় আরা একাধিক ব্যাক্তি জড়িত রয়েছে ।

অপরদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ার্বী বলেন ঢেউটিন চুরির ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর, এবিষয়ে আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করি। এবং চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।