চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর আ: রহীম পাটওয়ারী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা আমীর ও ২০ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহীম পাটওয়ারীকে আটক করেছে চাঁদপুর ডিবি পুলিশ। সোমবার মধ্যরাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করলেও গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় আদালতে হাজির করিয়ে জেল হাজতে চালন দেয়া হয়।

পারিবারিক সুত্রে জানায়, গত ৪ নভেম্বর সোমবার মধ্য রাতে হঠাৎ ডিবি সদস্যরা বাসা ঘিরে আব্দুর রহিম পাটওয়ারীর নিজ বাসায় বিশ্রাম করা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে। অথচ তার কোন মালার ওয়ারেন্টি নাই। তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি গতকয়েকদিন যাবৎ শারিরিকভাবে অসুস্থ। গতকাল তিনি চাঁদপুর মডেল থানায় গ্রেফতার অবস্থায় ছিলেন। আমরা দ্রুত তার মুক্তি কামনা করছি।
অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ॥ অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবী

চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর ও ২০ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম পাটওয়ারীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

ঘরোয়া বিশ্রাম গুলোতেও হামলা চালিয়ে গ্রেফতার ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রদান করছে। সরকারের এই জুলুম নির্যাতন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। বর্তমান অবৈধ সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তেৃবৃন্দকে একের পর এক গ্রেফতার করছে। দেশে আজ গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বলতে কোন কিছুই নেই। জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রহিম পাটওয়ারীর মিথ্যা মামলা অবিলম্বে বাতিল করে মুক্তির দাবি করছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কোন অপরাধ নয় বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এবং জামায়াতকে নেতৃত্বশুন্য করতেই জেলা আমীর আব্দুর রহিম পাটওয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ তার কোন মামলার ওয়ারেন্টি নেই। অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করায় নিশর্ত মুক্তির দাবি এবং এভাবে নেক্কারজনক ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখী হতে হবে। ইসলামী ছাত্র শিবিরের শহর ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।