চাঁদপুরে করোনায় একদিনে শনাক্ত ৮৮জন

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনার ভাইরাসের তৃতীয় ধাপে চাঁদপুরে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি। প্রতিদিনই স্যাম্পল জমা পড়ছে এবং শনাক্ত হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গতকাল ২২ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত সারাদিনে চাঁদপুরে ২৩৮টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আড়াই,শ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে (করোনা ওয়ার্ডে) ২২ জানুয়ারি শনিবার দিন পর্যন্ত বর্তমানে ২২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এরমধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ জন, সন্দেহজনক করুনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২১ জন। শনিবার দিন ছুটি নিয়েছে ১৫ জন।

জানাযায়, চাঁদপুরে নতুন করে আবারো করোনা সংক্রমন দেখা দিয়েছে। শুরু থেকে এবারের তৃতীয় ধাপেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শত শত স্যাম্পল জমা দিচ্ছেন রোগীরা এবং তারমধ্য থেকে সনাক্ত হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন করোনার ভ্যাকসিন গ্রহন করছে সচেতন মানুষ। তবুও বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গত কয়েকদিনে চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ৫২ জন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। শনিবার (২২জানুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

করোনায় আক্রান্তদেরকে নার্সিং ইনস্টিউটের একটি হলে রুমে পৃথকভাবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

এছাড়া খবর নিয়ে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত সারাদিনে চাঁদপুরে ২৩৮টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৭২জন, ফরিদগঞ্জের ৭জন, মতলব উত্তরের ১ জন,মতলব দ: ১ জন, হাজীগঞ্জের ৫ জন, হাইমচরের ১ জন ও শাহরাস্তির ১ জন রয়েছেন।
একই দিনে ১৫জনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্যদিকে করোনার সংক্রমনের শুরু থেকে গত ২২ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫৬৬১ জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ২৪১জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে ১৫০৫০জনকে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩৮৯জন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরেই করোনায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ভারপ্রাপ্ত (আরএমও) ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ১ জন রোগী করোনা পজেটিভ। আর বাকি ২১ জন সন্দেহজনকভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়েছেন ১৫ জন।

এখনই যদি জনসচেতনতা বৃদ্ধি না পায় তাহলে এর ভয়াবহতা আরো বেশী বাড়তে থাকবে। এর জন্য করোনার টিকা নিতে হবে। জনসাধারণকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলা সহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা প্রতিরোধে নিজে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং অন্যকেও মাস্ক পরিদানে উৎসাহ করতে হবে।