চাঁদপুররে মসলার বাজার চড়া

কুরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারো বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম। তবে এর প্রভাব সব থেকে বেশি পড়েছে খুচরা বাজারে। বিশেষ করে পর্যাপ্ত যোগান থাকা সত্তে¡ও দাম বেড়েছে এলাচ, জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ ও গোল মরিচের। রোজার ঈদের পর থেকে এসব মসলার দাম পর্যায়ক্রমে বেড়েছে বলেই জানা গেছে বিভিন্ন মসলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে।

গত বুধবার (১৪ জুলাই) চাঁদপুর শহরের এবং পুরান বাজারের মসলার দোকান ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে পর্যায়ক্রমে দাম বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের।

আর ক্রেতাদের অভিযোগ বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে একটি অসৎ মহল হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

বাজারের বিক্রেতারা জানান, খুচরা বাজারে বর্তমানে প্রতি ১শ গ্রাম হিসাবে এলাচ প্রকারভেদে ৪শ থেকে ৬শ টাকা, জিরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দারুচিনি ৬০ টাকা, লবঙ্গ ১২০ টাকা, গোলমরিচ ১১০ টাকা, জয়ত্রী ৪০০ টাকা, সরিষা ২০ টাকা, কাঁচা হলুদ ১৫ টাকা, গোলমরিচ ১১০ টাকা, আদা ১৫ টাকা, কিসমিস ৬০ টাকা হিসাবে বিক্রি হচ্ছ।

গতকাল পালেরবাজারের মায়ের দোয়া স্টোরের বিক্রিতা বলেন, এক মাস আগে থেকেই মসলা জাতীয় পণ্যে দাম বাড়ছে। এলাচের দাম বেড়েছে ২০ দিন আগে। আগের চেয়ে এখন কেজিতে এলাচের দাম প্রায় ২শ টাকা বেশি। বেড়েছে দারুচিনির দামও। আর পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে খুচরা বাজারে তার প্রায় দ্বিগুণ দাম বেড়ে যায়।

বিপনীবাগ বাজারের ফাতেম স্টোরের মালিক আকতার হোসেন জানান, ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবারই মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ে। এবারো বেড়েছে তেমন। এবার মসলাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে এলাচ, দারুচিনি, জয়ত্রী, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ও কাবাবচিনির। এসব পণ্যের মধ্যে কোনো কোনোটির কেজিতে দাম বেড়েছে হাজার টাকার বেশি। রোজা ও বাজেটের পর থেকেই মসলার দাম বাড়ছে। তবে বাজারে মসলার পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে।

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ রসুন ও আদার। নতুন বাজারের পাইকারি বাজারে দেশী পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া রসুন ১১০ থেকে ১৩০ এবং আদা ১৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

স্টাফ রিপোর্টার