কাল পর্যন্ত বিমানের সব ফ্লাইট বাতিল

আগামীকাল শনিবার ৬ জুন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যারা জনসমাগমে যেতে ভয় পাচ্ছেন কিংবা নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারছেন না তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। মাত্র তিন লাখ টাকায় প্লেন ভাড়া দিচ্ছে বিমান। প্লেন ভাড়া করে (চার্টার্ড) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটের যেকোনো বিমানবন্দরে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে সরকারি এ এয়ারলাইনস।

বিমানের দাবি, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অভ্যন্তরীণ যাত্রী সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তাই ফ্লাইট বাতিলে বাধ্য হয়েছেন তারা। তবে একই রুটে বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট চলাচল করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস তাদের নতুন এই ডোমেস্টিক চার্টার্ড অফারের বিষয়টি জানিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে ফ্লাইট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ জানায়, ৪, ৫, ৬ জুনের সব শিডিউল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এই তিন দিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন চারটি করে ফ্লাইট পরিচালনার কথা ছিল।

বিমান জানায়, পারিবারিক ভ্রমণের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্লেন ভাড়া দিচ্ছে। এজন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হবে (দূরত্বের ওপর নির্ভরশীল)। এই খরচে কেবলমাত্র ৫ ঘণ্টা প্লেনটি ভাড়া পাওয়া যাবে। অতিরিক্ত ঘণ্টা ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যান্য শর্তও রয়েছে। চার্টার্ড অফার ভাড়া কিংবা বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৭৭৭১৫৫০৪ এবং ০১৭৭৭৭১৫৫১৩।

এই অফারে কোন মডেলের প্লেন দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ড্যাশ-৮ দিয়ে ফ্লাইট চালানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই বিমানে ফ্লাইট পরিচালনা করলে সর্বোচ্চ ৩৬ জন যাত্রী বসতে পারবে। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট চলাচল করছে। অর্থাৎ যে কেউ ফ্লাইট ভাড়া নিয়ে এই রুটে আসা যাওয়া করতে পারবে। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ তিন রুটে গত সোমবার ১ জুন ফ্লাইট চলাচল শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তবে যাত্রী সঙ্কটের কারণে দ্বিতীয় দিন ২ জুন মঙ্গলবার ও ৩ জুন বুধবারও সব ফ্লাইট বাতিল করে তারা। ২ জুন তিন রুটে বিমানের ৭টি ফ্লাইট বাতিল হয়। পরবর্তীতে তারা ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে ৪-এ নামিয়ে আনে। সবমিলিয়ে ২ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মোট ২৩টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বিমানের। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিমান এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।