কচুয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রতারণা করে ফাঁসানের দাবি ছেলের পরিবারের

সুজনের ভাই মাসুদ জানান, কিছু বহিরাগত লোকজন তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওই মেয়েকে ফুঁসলিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠিয়েছে। মেয়েটির সাথে তার ভাই সুজনের কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন আমার ছোট ভাই সুজন কখনো এলাকায় থাকত না। সে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় উৎসুক লোকজন ছেলের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে। এবং এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সুজন হোসেন (২৮),পিতা- মৃত আলী মোহাম্মদ,মাতা- মৃত মাহাফুজা খাতুন, সাং-চাপাতলী(জুদার বাড়ী),থানা-কচুয়া,জেলা-চাঁদপুর। এই মর্মে থানায় হাজির হইয়া লিখিত ভাবে বিবাদি ১।মোসাঃ মনি ইসলাম(১৬),পিতা-আঃ করিম,মাতা-নাছিমা বেগম,সাং-নুরপুর(বেপারী বাড়ী),থানা কচুয়া জেলা-চাঁদপুর এর বিরুদ্ধে সাধারন ডায়েরী করার আবেদন করিতেছি যে, আমি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। আমি চাকুরি সুবাদে ঢাকাতে থাকি।

গত নভেম্বর/২০১৯ সালে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির মোবাইল নং-০১৮৩৭-০৩১৫৬৬ হইতে আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন আসে। আমি তাহার পরিচয় জানিতে চাইলে সে তাহার পরিচয় দিতে অস্বিকার করে। আমি তাহাকে আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন না করার জন্য বারন করিলে সে প্রতিনিয়ত আমার নাম্বারে ফোন করিয়া আমার কাজের সমস্যা সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে বিবাদির পরিচয় সংগ্রহ করিয়া বিবাদীকে আমার নম্বরে ফোন না করার জন্য বারন করি।

বিবাদী আমাকে ফ্রেন্ড হিসেবে কথা বলার জন্য অনুরোধ করে। আমি বিবাদীর অনুরোধ ক্রমে মাঝেমধ্যে কথা বলিতাম। বিবাদীর ফোনের কারনে আমার কর্মক্ষেত্রে কাজের সমস্যা হইলে আমি বিবাদীর মামা মিলন এর মাধ্যমে বিবাদীকে আমার নিকট ফোন না করার জন্য অনুরোধ করিলে বিবাদী ৪/৫ মাস আমার নাম্বারে ফোন দেওয়া হইতে বিরত থাকে।

পরবর্তীতে বিবাদী মার্চ/২০২০ মাসে অনুপস্থিতেতে আমার গ্রামে যাইয়া আমার স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়া বিভিন্ন লোকজনের নিকট বলাবলি করিয়া তাহার বাড়ীতে চলিয়া যায়। বিবাদীর এহেন কার্যকলাপের কারনে সামাজিক ভাবে আমরি মান সম্মান ক্ষুন্ন হইয়াছে বিধায় আমি সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবহিত করি। পরবর্তীতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিম দরবারের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা করিয়ে দেয়।বিবাদী ভবিষ্যতে এহেন কার্যকলাপ করিবেনা মর্মে স্থানিয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অঙ্গীকার করে। আমি আমার কর্মস্থলে চলিয়া যাই।

গত ০১/০১/২০২০ ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময় বিবাদী আমার অনুপস্থিতিতে আমার বাড়িতে আসিয়া অবস্থান নেয় এবং বিবাদীকে বিবাহ করার জন্য আমার অন্যান্য ভাই,ভাবী এবং সমাজের লোকজনদেরকে বলে। আমি বিবাদীকে বিবাহ না করিলে আমার ও আমার পরিবার পরিজনদের ক্ষতিসাধন সহ আমারও আমার পরিবারের নামে মিথ্যা নারী শিশু মামলা দিয়া হয়রানি করিবে বলে হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সহায়তায় বিবাদীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তাহার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়।

পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্থানীয় দুই চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে বিবাদী আমার বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থিত করিতে পারে নাই। পরবর্তীতে ও বিবাদীকে বিবাহ করার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হইতে চলিয়া যায়। বিবাদী যেকোন সময় আমার ও আমার পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা মোকাদ্দমা দিয়া হয়রানি করিতে পারে মর্মে বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য ডায়েরী করার আবেদন করিলাম।- (সুজন হোসেন)