কচুয়ার বরখাস্তকৃত উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩ আসামী কারাগারে

প্রকৌশলীকে পিটানো এবং আইসিটি আইনের পৃথক দুটি মামলায় চাঁদপুর কচুয়া উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারমান শাহজাহান শিশিরসহ ৩ আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশে দিয়েছে আদালত। অপর দুই আসামী হলেন, উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা ইমাম হোসেন।

২৫ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন এবং সিনিয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজম পৃথ দুটি রায়ে এই নির্দেশ দেন।

দুটি মামলায় শাহজাহান শিশির স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পন করতে আসলে, আদালত তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশে দেয়।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড.হেলাল উদ্দিন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড.আজাদ হোসেন।

মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই কচুয়া দুপুরে কচুয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় ‘কচুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিদের মারধরের শিকার হন প্রকৌশলী নুরে আলম।

এই ঘটনায় ওইদিন রাতেই নুরে আলম বাদী হয়ে কচুয়া থানায় চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিকে ১ নং, উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলামকে ২ নং এবং উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা ইমাম হোসেনকে ৩নং আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে নুরে আলম।

এদিকি গত ২১ জুন চাঁদপুর সদরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি করেন শহরের বিটি রোডের কবির হোসেনের ছেলে রকিবুল হাসান স্বাধীন।

এই দুটি মামলায় ২৫ আগস্ট মঙ্গৃরবার শাহজাহান শিশির স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পন করতে আসলে, আদালত তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশে দেয়।

এই ঘটনায় গত ২৩ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা খানমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

এদিকে প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে। নির্দেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার ঘটনাটি তদন্ত করেন। বর্তমানে তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগে দাখিলের অপেক্ষা।