আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ

আজ ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় গুম, খুন, অপহরণ আর না’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে দেশে গুম-অপহরণ বন্ধে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন প্রতিষ্ঠা ও সব নাগরিকের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ ২০০২ থেকে কাজ শুরু করে ২০০৬ সালের মাঝামাঝি নাগাদ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ রচনা করে। ইংরেজিতে নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এই আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয় তাতে ৩০ আগস্টকে আন্তর্জাতিক গুম-প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হয়।

এরপর ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। জানা গেছে, ‘গুম হতে সকলের সুরক্ষাসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ’-এ বাংলাদেশের অনুস্বাক্ষরের পক্ষে জনমত তৈরি করাও এই সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য। এ পর্যন্ত ৪৩টি দেশ সনদটি গ্রহণ করেছে, ৯৩টি দেশ অনুস্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এখনো এ সনদে স্বাক্ষর করেনি।

গুম দিবস উপলক্ষে এর আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গুমের আতঙ্ক এখন দেশের সর্বত্র পরিব্যাপ্ত। দুঃশাসন থেকে উৎপন্ন হয় গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মত মানবতাবিরোধী হিংস্রতা। গুম হচ্ছে একদলীয় দুঃশাসনের নমুনা।

গত শনিবার সকালে ৩০ আগস্ট ‘আন্তর্জাতিক গুম দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি হারিয়ে যাওয়া মানুষদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। বাংলাদেশে গুমের আতঙ্ক এখন সর্বত্র পরিব্যাপ্ত। দুঃশাসন থেকে উৎপন্ন হয় গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মত মানবতাবিরোধী হিংস্রতা।

স্বৈরাচারী সরকারের গড়ে তোলা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে বিরোধী দলের প্রতিবাদী নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া এখন নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুম হচ্ছে একদলীয় দুঃশাসনের নমুনা।