আজ পবিত্র লাইলাতুল বরাত

পবিত্র লাইলাতুল বরাত উপলক্ষে  চাঁদপুরসহ সারাদেশে মসজিদ, মাদরাসা, খানকা ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে আলোচনা, মিলাদ-মাহফিল ও নফল ইবাদতের আয়োজন করা হয়ে থাকে। পবিত্র লাইলাতুল বরাতে বাড়ি বাড়ি হালুয়া-রুটি বিতরণ, আলোকসজ্জা ও পটকাবাজির ধুম পড়ে যায়। কিন্তু এবার মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কোন প্রকার কর্মসূচী গ্রহণ করেনি। আর প্রত্যেককে মসজিদে না এসে নিজ নিজ ঘরে ইবাদাত বন্দেগী ও বিশেষ দোয়া করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।
পবিত্র লাইলাতুল বরাত উপলক্ষে টিভি চ্যানেলসমূহ ও বাংলাদেশ বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এছাড়া পত্র-পত্রিকাও বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষে আজ সকল সংবাপত্রসমূহে ছুটি পালিত হবে। ফলে আগামীকাল শুক্রবার কোন পত্রিকা প্রকাশিত হবে না।
পবিত্র লাইলাতুল বরাত উপলক্ষে  প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ এডভোকেট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা মহামারি থেকে মুক্তি এবং জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য দোয়া করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

উলামা মাশায়েখগণ বলেন, এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করে সারা রাত ইবাদত ও প্রার্থনায় কাটাতে পারলে তা-ই হবে এ রাতের সঠিক মূল্যায়ন। এই রাতে শুদ্ধ মনে তওবা করার পর নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া এবং ইসলামি বিধান মেনে চলতে হবে। আর এ রাতে হালুয়া-রুটি, ফিরনি-পায়েস, খিচুড়ি, বিরিয়ানি প্রভৃতি বিতরণ বিদাআত। কারণ উত্সব নয়, কেবল প্রার্থনার রাত ‘শবেবরাত’।

বর্ণিত আছে যে, রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নূরের তাজাল্লি পৃথিবীর নিকট আসমানে প্রকাশ পায়। তখন আল্লহপাক বলতে থাকেন—আছে কি কেউ ক্ষমাপ্রার্থী, যাকে আমি ক্ষমা করব? আছে কি কেউ রিজিক প্রার্থী, যাকে আমি রিজিক প্রদান করব? আছে কি কেউ বিপদগ্রস্ত, যাকে আমি বিপদমুক্ত করব? আল্লাহ তায়ালার মহান দরবার থেকে প্রদত্ত এ আহ্বান অব্যাহত থাকে ফজর অবধি।