অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পর্ব-০১ মিমাংসার কথা বলে খালি কার্টিজে স্বাক্ষর নিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার মামলা!

মানজুরুল আলম রানা
ফরিদগঞ্জে খালি কার্টিজে স্বাক্ষর নিয়ে উল্টো স্বাক্ষর দাতার বিরুদ্ধে ১৫ লক্ষ টাকার মামলা করেছে আপন ছোট ভাই। মামলার মূল পরিকল্পনাকারী প্রভাবশালী ইউপি সদস্য। ভূক্তভোগী মোঃ হুমায়ন কবির জানান, ১২নং চরদু:খিয়া ইউনিয়নের বিশকাটালী গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বর মজিবুর রহমান শেকু প্রায় ৫ বছর আগে পারিবারিক একটি বিষয়ে মিমাংসার কথা বলে দুটি খালি কার্টিজ পেপারে আমার স্বাক্ষর নেয়।

পরবর্তীতে সেখান থেকে ১টি কার্টিজ পেপারে ব্যাক ডেট দিয়ে একটি চুক্তিপত্র লিখে আমার ছোট ভাই মফিজুল ইসলাম তপুকে দিয়ে মামলা করায় এই ইউপি মেম্বর। ঘটনার সময় আমি দেশের বাহিরে ছিলাম। সংশ্লিষ্ট ইউপির সাবেক মেম্বর আব্দুল কাদের পাটওয়ারির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বেলেন, কার্টিজ পেপার বর্তমান মেম্বরের নিকটে আছে।

১৫ লক্ষ টাকার চুক্তির বিষয়ে বলেন এ বিষয়ে আমার কিছুই যানা নাই। ঘটনার সত্ত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্ত ইউপি মেম্বর মজিবুর রহমান শেকুর সঙ্গে তিনি বলেন, এই দেশে টাকা হলে দিনরে রাত, রাতরে দিন করা যায়। মার্ডার কেসের আসামিও টাকার কাছে মুক্তি পেয়ে যায়। এই দেশের অফিসারদের টাকা খাওয়ালেই সব ঠিক।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে এরকম ২শত থেকে ২৫০ টি কাগজ আছে। যে গুলো স্বাক্ষর করা। সেই কাগজগুলো থেকে এসে হুমাউন কবির তাদের কাগজ নিয়ে যাক। তবে ২টি কাগজ আমার কাছে নেই। একটি আছে। আরেকটি চেয়ারম্যানের নিকটে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, আমার কাছে কাটিজ পেপার আছে, তারা আসলেই আমি দিয়ে দিব।

১৫ লক্ষ টাকার চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদকে কোন মতামত ব্যক্ত করেননি।

১২নং চরদু:খিয়ার একাদিক ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করেতে মোঃ হুমায়ুন কবির ও তার ছোট ভাই মফিজুল ইসলাম তফু’র সাথে ১৫ লক্ষ টাকার চুক্তির কোন প্রমান মেলেনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন স্থানে মেম্বর শেকুর মালিকানাধীন দি মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্ডেন অবস্থিত। কাছাকাছি হুমায়ুনের আইডিয়াল নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা অবস্থিত হওয়াতে মেম্বর শেকুর দৃষ্টি পড়ে ওই প্রতিষ্ঠানের উপর। তাই কৌশলে হুমায়নের ভাই তপুকে স্বাক্ষর করা খালি কার্টিজ পেপার দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার পরিকল্পনা করে।

তারই অংশ হিসেবে করা হয় এই মামলা। যা দিনের আলোর মতই পরিস্কার খালি কার্টিজ পেপার ফেরত দেওয়ার পেছনেও থাকতে পারে নতুন কোন কৌশল। এই আশংকা ভূক্তভোগী। অনুসন্ধান কালে মজিবুর রহমান শেকুর বিরুদ্ধে আসে বহু অভিযোগ যা স্থানীয় পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।