অতি বর্ষনে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভিতরে পানি থৈ থৈ, তলিয়ে গেছে রোপা আমনের চারা ও বীজতলা

 গোলাম নবী খোকন

দেশের বৃহত্তর ও অন্যতম সেচ প্রকল্প বেড়ীবাঁধ মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। প্রকল্প তৈরীর উর্দেশ্য ছিল মহৎ। কিন্তু কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী, কৃষক ও কিছু সংখ্যক প্রভাবশালী লোকদের কারনে বেড়ীঁ বাঁধ দখল, পানি নিস্কাশন খাল দখল ও যেখানে সেখানে অপরিকল্পিত ভাবে দোকান পাঠ, বাড়ি ঘর নির্মান করার কারনে সরকারের যে আসল উদ্দেশ্য ছিল, সে সকল উদ্দেশ্য গুলি বেস্তে যেতে শুরু করেছে।

বৃষ্টি এলেই জলাবদ্ধতা, পানি আটকিয়ে সদ্য রোপা আমন, বীজ তলা ও চাষকৃত মাছের ঘের ক্ষতি গ্রস্হ হয়। মুদ্রা কথা হচ্ছে, কোন কোন ক্ষেত্রে, কোন কোন বিষয়ে অনেক অনেক লোক রাজনীতি বলেন আর সমাজ সেবা বলেন, আগে নীজের পেট ও পকেট ভারী করা আর নীজ স্বার্থচরিতার্থ করার জন্য আসে।

যদি ভাল মনমানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করতে আসে, তাহা হলে আর এ প্রকল্পের ধন্য দশা হতো না। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের লোভ থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকল্পের এ সমস্যা থাকবে। এখন ও সময় আছে, আমরা লোভ এবং স্বার্থের চিন্তা যদি না করি, তাহা হইলে আমাদের প্রকল্প আবার পুনরায় উজ্জীবিত হবে।

গত ৭ আগষ্ট সকাল ৯ টায় প্রকল্পের ভিতর বিভিন্ন যায়গা ঘুরে দেখা যায়, ব্যাপক জলাবদ্ধতা। প্রকল্পের পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়ন, পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়ন, গজরা ইউনিয়ন, ইসলামাবাদ, সুলতানাবাদ সহ প্রকল্পের অনেক জায়গায় ব্যপক জলাবদ্ধতা হয়ে কৃষকের সদ্য রোপা আমন, বীজতলা ও মাছের ঘের ক্ষতি গ্রস্হ হয়।

এ ব্যাপারে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন , অনেক গুলি কারনে প্রকল্পের ভিতর জলাবদ্ধতা, আমি মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ার কে বলে দিয়েছে, সার্বক্ষনিক পাম্প দিয়ে ভিতরের পানি টেনে ফেলার জন্য। আমরা কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এগুলি প্লানিং এ চলমান আছে। আশা করি প্রকল্পটি আবার উজ্জীবিত হবে ইনশাল্লাহ। মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসান বলেন,

আমি মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের এক্সসিয়েন কে বলেছি,তিনি পানি নিস্কাশনের জন্য সকল ব্যবস্হা নিবেন। প্রকল্পের সিপাই কান্দি বিল, ঠেটালীয়া ও ফতেপুর বিলে পানি থৈ থৈ। ৭ আগষ্ট ফতেপুর বিল থেকে তোলা ছবি।